সবার বিয়ে তো আর প্রেম করে হয় না। আমাদের সংস্কৃতিতে পারিবারিকভাবে দেখে-শুনে বিয়ে করার প্রচলনই বেশি। এ ধরনের বিয়েতে পাত্র-পাত্রীর চেয়েও অভিভাবক বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতামতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে একটি সমস্যার বিষয় থাকে তা হলো, পাত্র-পাত্রী নিজেদের সম্পর্কে তেমন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিয়েটা হয়ে যায়। প্রস্তাবের বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষেরা কিছু ভুল করে ফেলতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী-
অন্যের কথা শুনেই মত দিয়ে দেওয়া
প্রস্তাবের বিয়েতে স্বাভাবিকভাবেই পাত্র-পাত্রী একে অন্যকে ভালো করে চেনেন না। এক্ষেত্রে পাত্রী সম্পর্কে ভালো করে জানার অধিকার পাত্রের রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মুখে পাত্রীর কথা শুনেই পাত্র বিয়েতে মত দিয়ে দেন। এর প্রভাব পড়ে পরবর্তী জীবনে। একসঙ্গে পথ চলতে গিয়ে অনেক ধরনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই অন্যের কথা শুনে নয়, নিজে ভালো করে জেনে তবেই মত দিন।
পাত্রীর সঙ্গে কথা না বলা
বিয়ের পরে সারাজীবন আপনারা একসঙ্গে থাকবেন। তাই একে অন্যকে জানা জরুরি। বিয়ের আগে তাই পাত্রীর সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে। অনেকেই এখানে ভুলটা করেন। পাত্রীর সঙ্গে কোনো ধরনের কথা না বলেই বিয়েতে মত দিয়ে দেন। যদি কথা হয়ও, তা কেবল কুশল বিনিময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এই ভুলটা না করে বরং নিজের সম্পর্কে জানান এবং তার সম্পর্কেও জানুন। বিয়েতে তার আদৌ মত রয়েছে কি না, সেকথাও জেনে নিন।
মিথ্যা কথা বলা
কোনো মিথ্যাই ভালো নয়। আপনি যতই সাজিয়ে গুছিয়ে বলুন, মিথ্যা কখনো সত্যি হবে না। অনেক পুরুষ বিয়ের আগে গালগপ্পো সাজিয়ে বলেন। পাত্রীর কোনো কথার উত্তরে তিনি মিথ্যা বলে থাকেন। যেমন যা তার নেই, তাই আছে এমন ভাব করা, বাড়িয়ে বলা ইত্যাদি। কিন্তু এতে সাময়িকভাবে পাত্রীর মন পাওয়া গেলেও বিয়ের পরে মিথ্যাগুলো ধরা পড়লে সমস্যা বেড়েই চলে। তাই সব সময় সত্যিটাই বলুন। এতে পরবর্তীতে সমস্যায় পড়ার ভয় থাকবে না।
আর্থিক অবস্থা গোপন করা
সংসার চালাতে হলে টাকার প্রয়োজন হবেই। বর্তমানে যত বেশি উপার্জনই হোক না কেন, সংসার চালাতে গিয়ে অনেককে হিমশিম খেতে হবে। অনেকে পাত্রী কিংবা তার পরিবারের কাছে নিজের আর্থিক অবস্থা গোপন করেন। যতটা উপার্জন তার থেকেও বাড়িয়ে বলেন। পরে বাস্তবতা সামনে এলে মিথ্যাটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এতে সমস্যা বাড়েই, কমে না। তাই যতটুকু আপনার সামর্থ্য, ততটুকুই জানান। আর্থিক অবস্থা গোপন করবেন না।
চাপে পড়ে বিয়ে করা
পাত্রী পছন্দ না হওয়ার পরেও কেবল পরিবারের চাপে পড়ে বিয়ে করে ফেলেন এমন পুরুষের সংখ্যা কম নয়। পাত্রী অপছন্দ হতেই পারে, তা লুকিয়ে রাখলে চলবে না। বিয়েটা কিন্তু আপনার, অন্যদের নয়। তাই আপনি স্পষ্ট করে আপনার মতামত জানান। চাপে পড়ে কখনো বিয়ের মতো কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন না।